Recent comments

ব্রেকিং নিউজ

বাংলা ব্যান্ডের যাদুকরি সম্রাট আইয়ুব বাচ্চু


 আইয়ুব বাচ্চুর সংগীত জগতে যাত্রা শুরু হয় ফিলিংস ব্যান্ডের সঙ্গে ১৯৭৮ সালে। তার কণ্ঠ দেয়া প্রথম গান ‘হারানো বিকেলের গল্প’। এরপর ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালে তিনি সোলস ব্যান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন।


১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম একক এ্যালবাম রক্ত গোলাপ। এরপর ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম 'ময়না' । সর্বশেষ ২০১৫ সালে ‘সাউন্ড অব সাইলেন্স’ আইয়ুব বাচ্চুর একমাত্র যন্ত্রসঙ্গীতের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে ‘জীবনের গল্প’। ১৯৯১ সালের ৫ এপ্রিল এস আই টুটুল কী-বোর্ডসের দায়িত্বে, সাইদুল হাসান স্বপন বেজ গিটারে এবং হাবিব আনোয়ার জয় ড্রামসে দায়িত্বে ছিলেন। মূলত এই তিন জনকে নিয়ে যাত্রা শুরু করেন নিজের ব্যান্ড দলের।

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার খরনায়, বাবা ইশহাক আর মা নুরজাহান বেগমের ঘর আলো করে পৃথিবীতে আসেন ব্যান্ড সঙ্গীতে যাদুকরি গিটারের সম্রাট আইয়ুব বাচ্চু ।
ব্যক্তিগত জীবনে আইয়ুব বাচ্চু ফেরদৌস চন্দনাকে বিয়ে করেন। তাঁদের ঘরে জন্ম নেয় পুত্র ফাইরুজ ও কন্যা তাজওয়ার। এবি কিচেন নামে আইয়ুব বাচ্চুর একটি ব্যক্তিগত রেকর্ডিং স্টুডিও রয়েছে।
তিনি ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রামের মুসলিম হাই স্কুল থেকে এস এস সি পাশ করেন এরপর চট্টগ্রামে কলেজ জীবনে বন্ধুদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন‘গোল্ডেন বয়েজ’।নামক ব্যান্ড দলটি। পরে নাম বদলে করা হয় ‘আগলি বয়েজ’। সেই ব্যান্ডের গায়ক ছিল কুমার বিশ্বজিৎ এবং বাচ্চু ছিল গিটারিস্ট। সেই সময়ে তারা পটিয়ায় বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও শহরের বিভিন্ন ক্লাবে গান করতো। ১৯৯১ সালের মাঝামাঝি সময়ে তারা ভারতে অনুষ্ঠান করতে গেলে তাদের ভুলে "লিটল রিভার ব্যান্ড" নামে পরিচিত করানো হয়। নামটি বাচ্চু পছন্দ করে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে তার ব্যান্ড নামকরণ করেন। ১৯৯১ সালের এপ্রিল মাসে, এলআরবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের প্রথম কনসার্টটি করে। ১৯৯২ সালের জানুয়ারী মাসে বাংলাদেশে প্রথম ডাবল অ্যালবাম: এলআরবি ১ এবং এলআরবি ২ প্রকাশ করেছিল। বাংলা চলচ্চিত্রে লুটতরাজ সিনেমায় ‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে গানটি গাওয়ার মধ্য দিয়ে সর্বপ্রথম প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে অভিষেখ হয় তার। ২০১৭ সালে আইয়ুব বাচ্চু নিজের কিছু গানের কপিরাইট নিবন্ধন করেছিলেন। এর এক বছর পর ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর প্রয়াত হন এই ব্যান্ড কিংবদন্তী। ২০২০ সালে ১৮ অক্টোবর আইয়ুব বাচ্চুর ২৭২টি গান সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয় কপিরাইট অফিস।

সেই গান থেকে গত এক বছরে আয় হয়েছে ৫ হাজার ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ লাখ টাকা। এবার সেই সম্মানী পরিবারের হাতে তুলে দিলো বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস।গত ১২ অক্টোবর আগারগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই রয়্যালটির অর্থ বাচ্চুর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মৃত্যু দিনে বাংলা সঙ্গীতজগতের অন্যতম ধ্রুবতারা আইয়ুব বাচ্চুকে স্বরণ করছি বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায়।

No comments