উপমহাদেশে কেন? জনপ্রিয়তার শীর্ষে রুনা
উপমহাদেশে কেন? জনপ্রিয়তার শীর্ষে রুনা
গান আর গান গানই তার বসবাস।শুধু বাংলাদেশ নয় তার গান ছড়িয়ে আছে উপমহাদেশজুড়ে।টানা পাঁচ দশক ধরে সংগীতের সাথে তার মিতালী।তিনি সবার প্রিয় রুনা লায়লা।১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে ,বাবা মোহাম্মদ ইমদাদ আলী ও মা আমিনা লায়লার ঘর আলো করে জন্ম নেন তিনি।নিজের ছন্দময় সুর ও সুরেলা কন্ঠ দিয়ে এই অঞ্চলের মানুষকে এখনো মঞ্চমুগ্ধ করে রেখেছে জীবন্ত এই কিংবদন্তি।
ও মেরা বাবু চেল চাবিলা ও দমাদম মাস্ত কালান্দার গান দিয়ে ভারত জুড়ে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এবং দমাদম মাস্তকালান্দার গানটি বলিউড তারকা শাহরুখ খানের পছন্দের একটি গান।
সেই ছেলে বেলাতেই গানে হাত খড়ি,মাত্র ৬ বছর বয়সে ১৯৬৪ সালে পাকিস্তানি সিনেমা‘জুগনু’তে প্লেব্যাক করে অভিষেক হয় রুনা লায়লার। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ও সুবল দাসের সুরে গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে গানে প্রথম কন্ঠ দেন , এরপর সত্য সাহার সুরে জীবন সাথী ছবিতে। চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত শিল্পী ছবিতে অভিনেতা আলমগীরের বিপরীতে মূল ভূমিকায় রুনা কে নায়িকা হিসেবে দেখা যায়। পরবর্তী সময়ে তাকেই বিয়ে করেন তিনি।
নব্বই দশকের খ্যাতিমান তারকা সালমান শাহ এর অভিনীত ছবি কেয়ামত থেকে কেয়ামত,বিক্ষোভ,স্বপ্নের ঠিকানা,স্বপ্নের পৃথিবী ,স্বপ্নের নায়ক,প্রিয়জনসহ বেশ কয়েকটি ছবিতে প্লেব্যাক করেন রুনা লায়লা। এরপর মুম্বাইয়ে পাকিস্তানি সুরকার নিসার বাজমির সুরে একদিনে ১০টি করে তিন দিনে ৩০টি গানে কন্ঠ দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখান তিনি।
সর্বশেষ ১৯৯০ সালে অমিতাভ বচ্চন অভিনীত অগ্নিপথ ছবির ‘আলীবাবা মিল গ্যায়া চলি্লশ চোর সে গানটি গেয়েছিলেন।
লোকজ, পপ, রক, গজল, আধুনিক গানে সব ক্ষেত্রে সমান সাবলীল রুনা লায়লা। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচবার। ১৯৭৬ সালে ‘দি রেইন ছবিতে, ১৯৭৭ সালে ‘যাদুর বাঁশী’ ১৯৮৯ সালে অ্যাকসিডেন্ট’ ১৯৯৪সালে অন্তরে অন্তরে এবং ২০১২ সালে তুমি আসবে বলে। এ এছাড়া ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পদক , বাচসাস পুরস্কার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি পুরস্কার, পাকিস্তানের নিগার অ্যাওয়ার্ডসহ অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
জন্মদিনে প্রিয় শিল্পীর প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা।
No comments