Home
/ 
চট্টগ্রাম মহানগর
/ 
 চট্টগ্রামে শুদ্ধি অভিযান চলাকালে অন্য অপরাধীদের মতো নুর মোস্তফা টিনু কেনো পালিয়ে যাননি?
চট্টগ্রামে শুদ্ধি অভিযান চলাকালে অন্য অপরাধীদের মতো নুর মোস্তফা টিনু কেনো পালিয়ে যাননি?
নাম শুদ্ধি অভিযান! তবে অভিযানটা শুদ্ধ হয়েছে কিনা তা আজো প্রশ্নবিদ্ধ! এই শুদ্ধি অভিযান নিয়ে জনগন শতভাগ আশাবাদী আর ন্যায় বিচারের আশায় থাকলেও, অবশেষে জনগনের সেই আশায় মরিচিকা পড়েছে। কারন, চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য কোনো অপরাধী সেই শুদ্ধি অভিযানে ধরা পড়েনি। চট্টগ্রামে যারা উল্লেখযোগ্য অপরাধী ছিলো তারা সবাই তখন দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলো। তাদের সেই পালিয়ে যাওয়া কেউ আটকাতে পারেনি। অথচ, চট্টগ্রাম সহ সারাদেশে তখন শুদ্ধি অভিযান চলছিলো। সেই শুদ্ধি অভিযান চলাকালীন সময়ে চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য অপরাধীরা সিস্টেমে সিস্টেমে দেশ থেকে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছিলো। যখন শুদ্ধি অভিযান স্থগিত করা হয়, তখন তারা আবার দেশে ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু তাদেরকে আর আইনের আওতায় আনা হয়নি। তারা এখন দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে নিরপরাধীর মতো। নিরবে নিবৃত্তে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের সেই আগের কর্মকান্ড গুলো।
কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, যুবলীগ নেতা নুর মোস্তফা টিনুই কি চট্টগ্রামের একমাত্র অপরাধী?? শুদ্ধি অভিযান কি শুধু তার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ছিলো?? নুর মোস্তফা টিনু যদি আসলেই অপরাধী হয়ে থাকতেন, তাহলে শুদ্ধি অভিযানে ধরা পড়ার ভয়ে অন্য অপরাধীদের মতো তিনিও কেনো পালিয়ে যাননি?? চট্টগ্রামের পুলিশ প্রশাসনের কাছে কেনো নুর মোস্তফা টিনুর নামে কোনো অভিযোগ নাই?? নুর মোস্তফা টিনু অপরাধী হয়ে থাকলে তার ভিতরে ভয় কাজ করেনি কেনো?? নুর মোস্তফা টিনুর নেতা সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি তো এখন সংসদে নেই, মন্ত্রীত্বে নেই। নুর মোস্তফা টিনুর উপর কারো কোনো শেল্টারও নেই। তারপরও শুদ্ধি অভিযান চলাকালে নুর মোস্তফা টিনু কেনো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি? কেনো তিনি তখন দলের বিভিন্ন প্রোগ্রামে রাজপথে ছিলেন?? প্রশ্ন থেকে যায়, তবে কি যুবলীগ নেতা নুর মোস্তফা টিনু ষড়যন্ত্রের স্বীকার?? তবে কি অন্যদের অপরাধ বা তাদের দেশ ত্যাগের অপরাধ চাপা দেওয়ার জন্য উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে নুর মোস্তফা টিনুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো?? নিরপরাধ নুর মোস্তফা টিনুকে মিথ্যা অস্ত্র মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছিলো?? আজ এমনই শত শত প্রশ্ন চকবাজার বাসীর এবং সংগঠনের নেতা-কর্মীদের। কিন্তু কে বা কারা দিবেন এইসব প্রশ্নের জবাব! কে বা কারা দিবেন নুর মোস্তফা টিনুর প্রতি এই অন্যায় অবিচারের জবাব!
যারা সত্যিকারের অপরাধী তারা কেউ শুদ্ধি অভিযানে ধরা পড়েনি, পালিয়ে গিয়েছিলো সবাই। কিন্তু নুর মোস্তফা টিনু পালিয়ে যাননি। শুদ্ধি অভিযানে ধরা পড়ার ভয় তার ভিতরে কাজ করেনি। কারন, নুর মোস্তফা টিনু কোনো অপরাধই করেননি। তিনি স্বচ্ছ ছিলেন, তিনি নিরপরাধ ছিলেন, তাই তিনি পালিয়ে যাননি। নুর মোস্তফা টিনু স্বচ্ছ ধারার রাজনীতি করতেন, তিনি নিজে অন্যায় অপকর্ম করতেন না এবং তিনি কোনো অন্যায় অপকর্মকে পশ্রয়ও দিতেন না। তিনি সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং সংগঠনের প্রতি তার সবসময় ভক্তি শ্রদ্ধা ছিলো। তিনি নিজেও তা কারাগার থেকে লিখে পাঠিয়েছিলেন। এবং তা পত্রিকা ও বিভিন্ন নিউজ সাইটে "কারাগার থেকে যুবলীগ নেতা নুর মোস্তফা টিনুর হৃদয় বিদারক বার্তা" শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছিলো। 
চকবাজার বাসী ও সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মতে, নুর মোস্তফা টিনু চরমভাবে উদ্দেশ্য প্রনোদিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের স্বীকার। শত্রুদের দৌরাত্ম্যে তিনি আজ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চকবাজারের কিছু স্থানীয় বাসিন্দা জানান যে, "দলের নাম বিক্রি করে অপকর্মকারী কতিপয় শ্রেনী জামাত-শিবিরের সাথে আতাত করে চকবাজারে একেকটি সিন্ডিকেট গঠন করেছে। তারা চকবাজারকে আবার জামাত-শিবিরের মিনি ক্যান্টনমেন্ট বানাতে চায়, তারা আবার চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজকে জামাত-শিবিরের হাতে তুলে দিতে তৎপরতা শুরু করেছে। তারা আরো বলেন যে, নুর মোস্তফা টিনু এই সিন্ডিকেটেরই ষড়যন্ত্রের স্বীকার। কারন, নুর মোস্তফা টিনুই চকবাজার এবং চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ থেকে শিবির এবং স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিদের উৎখাত করেছিলেন। চকবাজারে নুর মোস্তফা টিনু মানেই জামাত-শিবিরের আতংক। তাই নুর মোস্তফা টিনু সবার কাছে চক্ষুশূল। আর এজন্যই সবাই নুর মোস্তফা টিনুর সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা আরো বলেন যে, নুর মোস্তফা টিনু এলাকার একজন সৎ ও বিনয়ী ছেলে এবং গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের পরম বন্ধু"। তারা অবিলম্বে নিঃশর্তে নুর মোস্তফা টিনুর মুক্তি দাবী করেন।
নুর মোস্তফা টিনুকে গ্রেপ্তার, বিচার কার্যক্রম বিলম্বিত হওয়া এবং অন্যায় অমানবিকভাবে তাকে কারাগারে বন্দি করে রাখা এইসবই আজ রহস্যে ঘেরা। প্রশ্ন উঠেছে আদালতের বিচার কার্যক্রম নিয়েও। নুর মোস্তফা টিনুর সমর্থক, পরিবার এবং সংগঠনের নেতা-কর্মীদের দাবী, " নুর মোস্তফা টিনু কোনো অপরাধী ছিলেন না। তার নামে প্রশাসনের কাছে কারো কোনো অভিযোগও নাই। তাকে অপরাধী সাজানো হয়েছে, এবং তার প্রতি চরমভাবে অন্যায় অবিচার করা হয়েছে"।
উল্লেখ্য যে, গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইং রাত ১১ টায় অনুষ্ঠিত নগর যুবলীগ নেতা মাহবুব উল হক সুমনের মায়ের জানাজার নামাজ পড়ে আসার পথে র্যাব-৭ নুর মোস্তফা টিনুকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবী করেন র্যাব-৭। তার পরিবারের মতে, অনেক আইনি হয়রানি আর নির্যাতনের পর ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮.০০ ঘটিকায় র্যাব এবং পাঁচলাইশ থানা পুলিশ যৌথভাবে সরাসরি নুর মোস্তফা টিনুকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরন করেন। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত নুর মোস্তফা টিনু মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী।
নুর মোস্তফা টিনুর মতে, "সেদিন আমার কাছে কোনো অস্ত্র ছিলো না। অস্ত্রটির ফিঙ্গার প্রিন্ট পরীক্ষা করার জন্য আমি মহামান্য আদালতকে অনুরোধ করেছি। আমি ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়েছি। সবই আমার প্রতি রাজনৈতিক প্রহসন। আমি আমার প্রান প্রিয় নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এর সুবিচার চাই"।
সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে চকবাজারের মাটি ও মানুষের নেতা নুর মোস্তফা টিনু চকবাজার বাসীর কাছে ফিরে আসবেন, এবং মহামান্য আদালত অচিরেই নুর মোস্তফা টিনুকে নিঃশর্তে মুক্তি দিবেন এমনটাই প্রত্যাশা চকবাজার বাসীর এবং সংগঠনের নেতা-কর্মীদের।
 চট্টগ্রামে শুদ্ধি অভিযান চলাকালে অন্য অপরাধীদের মতো নুর মোস্তফা টিনু কেনো পালিয়ে যাননি?
 
        Reviewed by www.nca24bd.blogspot.com
        on 
        
August 20, 2020
 
        Rating: 5
 
        Reviewed by www.nca24bd.blogspot.com
        on 
        
August 20, 2020
 
        Rating: 5

No comments